ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর হতে চালু হয়েছে। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরীব রোগীদের সনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদফতরের জনবল, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যরালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরীব রোগীদের জন প্রতি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হারে বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের ব্যয়ভার বহনে এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করা হয়।
সংজ্ঞা
ক্যান্সার
বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্যা ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারণভাবে কোষগুলো; নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষগুলো কোনো কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমর বলে। এই টিউমর বেনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট; হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমরকেই ক্যান্সার বলে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিয়োপ্লসিয়া (টিউমর) বলে এবং এই নিয়োপ্লসিয়ার ম্যালিগন্যান্ট রূপকে ক্যান্সার বলে।
লিভার সিরোসিস:
সিরোসিস লিভারের একটি ক্রনিক রোগ, যাতে লিভারের সাধারণ আর্কিটেকচার নষ্ট হয়ে লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। অনেক ক্ষেত্রেই লিভার সিরোসিস থেকে লিভারে ক্যান্সারও দেখা দিতে পারে।
কিডনী রোগ
কিডনী যখন তার কার্যক্ষমতা ক্রমান্বয়ে হারাতে থাকে তখন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যদি কিডনী রোগ বেশি বেড়ে যায় তখন রক্তে দুষিত পদার্থ বাড়তে থাকে এবং অসুস্থবোধ হতে থাকে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিমিয়া (লাল রক্ত কনিকার স্বল্পতা), হাড় দুর্বলতা, পুষ্টিহীনতা, স্নায়বিক ক্ষতিগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হৃদরোগ ও রক্তনালির রোগ বৃদ্ধি করতে পারে। এসব রোগ এবং রোগের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে ধীরগতিতে এবং অনেক দিন ধরে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য মেটাবলিক ডিসওয়ার্ডারের কারণে ক্রনিক কিডনি রোগ হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্নয় এবং চিকিৎসা করালে রোগ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণ বা আরো খারাপ হওয়ার দ্রুততাকে ধীরগতিসম্পন্ন করা যায়। যদি রোগ দ্রুত বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে তখন কৃত্রিম উপায়ে অর্থাৎ ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে রক্ত পরিশুদ্ধের ব্যবস্থা করতে হয় এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
ক) ক্যান্সার, কিডনী এবং লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত গরীব রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান;
খ) আক্রান্ত রোগীর পরিবারের ব্যয়ভার বহনে সহায়তা করা;
গ) সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করা।
ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর হতে চালু হয়েছে। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরীব রোগীদের সনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদফতরের জনবল, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যরালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরীব রোগীদের জন প্রতি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হারে বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের ব্যয়ভার বহনে এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করা হয়।
এখন অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে.......
আবেদনের পূর্বে নিম্নবর্ণিত নির্দেশিকা ভালভাবে পড়ুন:
আবেদন ফরম (pdf) (আবেদন ফরমসহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র ও প্রত্যয়ন পত্র পূরণ করে ০২(দুই) কপি নিজ নিজ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বছরের যে কোন সময়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়গুলোতে আবেদন জমা দেয়া যাবে। সমাজসেবা অধিদফতরে সরাসরি আবেদন প্রেরণের সুযোগ নেই।
একনজরে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যাঃ
অর্থবছর |
উপকারভোগীর সংখ্যা |
সহায়তার পরিমাণ |
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস